আখলাকে হামিদাহ্ বা প্রশংসনীয় আচরণ মানুষের জীবনে খুবই প্রয়োজন। সুন্দর আচরণের মাধ্যমে মানুষে মানুষে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। সুসম্পর্ক ও সৌহার্দ ভাব বজায় থাকে। পারস্পরিক লেনদেন সহজতর হয়। জীবন হয়ে ওঠে মধুময়। তাই সচ্চরিত্রের গুরুত্ব সম্পর্কে মহানবি (স.) বলেন, 'কিয়ামতের দিন দাঁড়িপাল্লায় সবচেয়ে ভারী জিনিস হবে মুমিনের উত্তম চরিত্র।' (তিরমিযি)
মহানবি (স.) আরও বলেছেন, 'তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি আমার নিকট সবচেয়ে প্রিয় যার চরিত্র উত্তম।' (বুখারি ও মুসলিম)
মহান আল্লাহ মানুষকে অসংখ্য নিয়ামত দান করেছেন। এগুলোর মধ্যে সচ্চরিত্র একটি উত্তম নিয়ামত। সচ্চরিত্র শিক্ষার জন্য সর্বোত্তম আদর্শ হচ্ছেন আমাদের প্রিয় নবি হযরত মুহাম্মদ (স.)। পরিপূর্ণ সচ্চরিত্রের প্রতীক ছিলেন তিনি। এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন-
لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ
অর্থ: "অবশ্যই তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের জীবনে রয়েছে উত্তম আদর্শ।” (সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ২১)
মহানবি (স.)-এর চরিত্রের মধ্যে সদাচরণের গুণগুলো পরিপূর্ণভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। এ সম্পর্কে রাসুল (স.) ঘোষণা করেন-
إِنَّمَا بُعِثْتُ لِا تَمِّمَ مَكَارِمَ الْأَخْلَاقِ
অর্থ: 'আমি উত্তম চারিত্রিক গুণাবলি পরিপূর্ণ করার উদ্দেশ্যেই প্রেরিত হয়েছি।' (মুসনাদে আহমাদ)
আমাদের জন্য মহানবি (স.)-এর সমগ্র জীবনই উত্তম অনুকরণীয় আদর্শ। আমরা মহানবি (স.)-এর জীবন অনুসরণ করে নিজেদের জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তুলব।
| কাজ: শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে ভালো অভ্যাস ও মন্দ অভ্যাসের তালিকা বা চার্ট তৈরি করে শিক্ষককে দেখাবে। | 
Read more